তারা হলেন, ভারতের বান্টি সনি ও রামেশ কুমার বারমা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, তারা ঢাকা-দোহার প্লেনের কিউআর ৬৩৫ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। বহির্গমনকালে ইমিগ্রেশন পরবর্তী সময়ে শুল্ক গোয়েন্দা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। প্রাথমিকভাবে তারা মুদ্রা বহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে সুনির্দিষ্ট সংবাদ এবং তাদের কথা-বার্তায় অসংগতি পাওয়ায় তাদের শাহজালালের কাস্টমস হলে নিয়ে এসে তল্লাশি করা হয়। এসময় বান্টি সনির কাছ থেকে ৩৫ হাজার ১৬৫ মূল্যমানের কাতার রিয়াল ও ২২১ ইউএস ডলার এবং রামেশ কুমার বারমা কাছ থেকে ৪৫ হাজার মূল্যমানের কাতার রিয়াল ও ২২৩০ মূল্যমানের ভারতীয় রুপি জব্দ করা হয়। বাংলাদেশি টাকায় এসব মুদ্রার পরিমাণ ১৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এসব মুদ্রা তাদের হাত ব্যাগের ভেতর পেপারে মোড়ানো ছিল।
মইনুল আরও জানান, এই মুদ্রা তারা চোরাচালান করার চেষ্টা করছিলেন মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়। ঘোষণা ছাড়া এবং লুকানোর কারণে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও শুল্ক আইন ভঙ্গ হয়েছে। যে কারণে যাত্রী দুইজনকে শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া পাসপোর্ট চেক করে দেখা যায়, উভয় যাত্রী ২০১৭ সালে ০৫ বার কলকাতা-ঢাকা এবং ০৮ বার ঢাকা-দোহা যাতায়াত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছেন ২২ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে বেনাপোল হয়ে ঢাকায় আসেন। এছাড়া ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা-দোহা যাতায়াত কালেও তারা মুদ্রা বহন করেছিলেন এবং দোহা-ঢাকা ফেরত পথে স্বর্ণ বহন করেছিলেন।
এছাড়া বাদল নামে এক বাংলাদেশি টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মত আরো অনেককে এই কাজে ব্যবহার করে আসছেন বলে তারা তথ্য দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭,২০১৭
এসজে/আরএ