বিদেশি এ ফুলের বাগান গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন মাগুরা পৌর এলাকার বেলনগর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আজিজ শেখ। তার সফলতা দেখে গ্রামের প্রায় ২০ জন বেকার যুবকও এ ফুলচাষে ভাগ্য বদলে নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২ একর জমিতে গড়া আজিজের জারবেরা ও গ্ল্যাডিউলাস ফুলের বাগান। বাগানের দু’পাশে নানা রঙের ফুলে ফুলে উড়ছে রঙিন প্রজাপতিও।
আজিজ শেখ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ছয় বছর ধরে এ ফুলের চাষ করছি। বিয়ে, জন্মদিন, পহেলা বৈশাখ, জাতীয় অনুষ্ঠান ও বড়দিনসহ সব উৎসবে এ ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে পাঠিয়ে বিক্রি করি। প্রতি হাজার ফুল ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আবার ১০০টি করে জারবেরা-গ্ল্যাডিউলাস ফুলের তোড়া বেধে ৬০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করি’।
আজিজের ফুলের বাগানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভোর থেকে বাগানেই কেটে জারবেরা-গ্ল্যাডিউলাস ফুলের তোড়া বাধেন তারা। বিকেল ৫টায় বাজারজাতকরণ পর্যন্ত কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে পান।
বেলনগর দক্ষিণপাড়ার সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, আজিজ শেখের সফলতা দেখে গ্রামের অনেক যুবকও ফুলের চাষে শুরু করেছেন। ছয় বছরে স্থানীয় কৃষকদেরও আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ।
মাগুরা জেলা কৃষি কর্মকর্তা পার্থ প্রিতম সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বেলনগরে বাণিজ্যিকভাবে জারবেরা ও গ্ল্যাডিউলাস ফুলের চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন আজিজ শেখ। তাকে দেখে আরও অনেক যুবক এগিয়ে আসছেন। ফুলের চাষ করে দেশের অর্থনীতির চাকা আরও সচল রাখছেন। সত্যি আজিজ শেখ প্রশংসার দাবি রাখেন। আমরা তাকে সঠিক পরামর্শ দিচ্ছি, সহযোগিতা করছি’।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এএসআর