পর্যটকরা বলছেন, যাত্রাপথের সব ভোগান্তি-ক্লান্তি দূর করে দেয় সবুজের নয়নাভিরাম এ দৃশ্য। সড়কের পাশের প্রকৃতির নির্মল বাতাস, ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ আর আকর্ষণীয় সেতুগুলো ভালো লাগার উৎস যোগায়।
বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। এ পথে লেবুখালি ফেরিঘাট ছাড়াও রয়েছে অন্তত ১৫টি বাস স্টপেজ। বাকি সব স্থান জুড়ে যতোদূর চোখ যায়, রাস্তার পাশে গাছ আর ফসলের ক্ষেত। আঁকা-বাকা পথের ধারে সৃষ্টি, রেন্ডি, মেহগনি,কড়াই, ইপিল ইপিল, আকাশমনিসহ নানা প্রজাতির বাহারি গাছে আর মাঠের ফসলে সবুজের হাতছানি। মহাসড়কের হাজিপুর, আলীপুর, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, তেলিখালি ও কর্নকাঠি পয়েন্টের সাতটি সেতুও দর্শনীয়।
তবে কিছুটা ভোগান্তি রয়েছে পরিবহনের ক্ষেত্রে। এ রুটে চলা ১০০/১২০টি বাসে প্রতিদিন ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী যাতায়াত করছেন।
তবে এর কারণ হিসেবে কুয়াকাটা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী সিফাত পরিবহনের সুপারভাইজার মশিউর রহমান জানান, শীত মৌসুমে পর্যটকদের ঢল নেমেছে কুয়াকাটা সৈকতে। এ রুট ব্যবহার করেই যেতে হয় সেখানে। তাই যাত্রীদের চাপ একটু বেশি।
বাসটির চালক জামাল বলেন, ‘প্রতিটি বাসেই যাত্রীদের চাপ। সবাই গন্তব্যে যাচ্ছেন, আমরা যাত্রীসেবা নিশ্চিত করছি’।
কুয়াকাটা সৈকতমুখী পর্যটক মনিরুল ইসলাম বলেন, বাসে উঠে যাত্রার শুরু থেকেই গাছে গাছে সবুজের সৌন্দর্য চোখে পড়ে। রাস্তার দুই পাশের সারি সারি বাহারি প্রজাতির এসব গাছ মন কেড়ে নেয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে থাকার ক্লান্তি-দুর্ভোগ দূর হয়ে যায়। এ রুটের ব্রিজগুলোও আকর্ষণীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এএসআর