তিনি বলেন, যারা মফস্বল ছেড়ে শহরে চলে আসে তাদের চাকরি করার দরকার নেই। দয়া করে তারা বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে যাক।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেটের অর্থে সংগৃহীত সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
জাপান থেকে আনা সর্বাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিককে। প্রথম ধাপে সাতটি দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ৫শ অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডাক্তার আমরা নিয়োগ দিচ্ছি। কিন্তু যেই আমরা উপজেলায় পাঠাচ্ছি সেখানে না থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। সরকারি চাকরি হলেই এ সমস্যাটা হয়। যেই আমরা দিয়ে দিচ্ছি, অমনিই যেকোনোভাবে কায়দা-কানুন করে ঢাকায় চলে এসে বসে থাকবে।
তিনি বলেন, এভাবেই যদি কেউ চলে আসে তাহলে তো তার আর চাকরি করার দরকার নেই। ঢাকায় বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করলেই তো অনেক টাকা পাবে। দয়া করে তারা বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে যাক আমরা নতুন নিয়োগ দেবো। প্রতিনিয়িত ছেলেমেয়েরা লেখা-পড়া শিখে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে।
উপজেলা ও মফস্বল পর্যায়ে ডাক্তারদের আবাসন সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি সমস্যা আমি খুঁজে বের করেছি, তাদের আবাসিক সমস্যাটা। উপজেলায় গেলে সেখানে তাদের থাকার খুব একটা জায়গা নেই।
এসময় উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকসহ সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা সমাধানে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে ইতোমধ্যে গণপূর্তকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যসেবায় আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আমরা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রথম ধাপে দেওয়া সাতটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বান্দরবান সদর হাসপাতালসহ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, খুলনার ফুলতলা, কুড়িগ্রামের রাজীবপুর, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রী মুখ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
***ভরপেটে শিশুকে টিকা খাওয়ান
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এমইউএম/এএ