এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রেজাউল হাওলাদার (৩৫), নিহতের খালু দবির বেপারী ও খালা সাহেদা বেগম পলাতক রয়েছেন। রেজাউল তার স্ত্রী সাথীকে নিয়ে খালু শ্বশুরের বাড়িতে থাকতেন।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাথীর পরিবারের দাবি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার আমুর সরদারের মেয়ে সাথী আক্তারের সঙ্গে দেড় মাস আগে একই উপজেলার ধুলগ্রাম এলাকার খিড়াইপাড়া গ্রামের সাত্তার হাওলাদারের ছেলে রেজাউলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাথীর খালুর খামারে কাজ করতো রেজাউল। সে সুবাদে সেখানেই তারা থাকতো। রোববার সন্ধ্যায় আশপাশের লোকজন বিষয়টা আঁচ করতে পেরে এগিয়ে গিয়ে দেখে ঘরের আড়ার সঙ্গে সাথীর ঝুলন্ত মরদেহ। ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো এবং স্বামীসহ বাড়ির লোকজন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই আলামিনের দাবি, তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বোনের স্বামী রেজাউল পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। এবং এ নিয়ে প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামীসহ বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় বিষয়টা রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ