সোমবার (০১ জানুয়ারি) ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলার পর আমরা একের পর এক সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি বাহিনীকে কঠোর হাতে দমন করেছি। সিটিটিসির একঝাক তরুণ অফিসের নেতৃত্বে সারাদেশে ৫০টির বেশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অত্যন্ত কার্যকরভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা তিনি বলেন, ঢাকার বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরা, টিএসসি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপদে উৎসবের মধ্য দিয়ে ইংরেজি নববর্ষের অনুষ্ঠান উৎযাপিত হচ্ছে। আমরা এর আগে যেভাবে ঘোষণা করেছিলাম প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র, সুদৃঢ় এবং সমন্ধিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঠিক তেমনটিই গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাদা পোশাকে এবং ইউনিফর্মে আমাদের শতশত পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছে। প্রস্তুত রয়েছে বোম ডিসপোজাল, সোয়াট, ডগ স্কোয়াডসহ সকলেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উৎসবের প্রত্যেকটি স্থান, পাঁচ তারকা হোটেল, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিল, খিলক্ষেত তিনশফিট ঘুরে দেখেছি। আস্থার সঙ্গে মানুষ উৎসব করছেন। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা মনে করি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলেই অনুষ্ঠান সুন্দর ও সাবলীল হয় এবং জনগণের অংশ গ্রহন বাড়ে। বিগত সময়ের মত এবারও নগরবাসী জননিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপির নির্দেশনা পালন করায় আন্তরিক ধন্যবাদ নগরবাসীকে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ নিরাপত্তার মধ্যেদিয়ে ইংরেজী নববর্ষের অনুষ্ঠান পালন করছে। ২০১৭ সালে আমাদের অজর্ন অনেক। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার রোধে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজন্য নগরবাসী ও প্রত্যেকের সহযোগীতা কামনা করছি। আইনের সুশাসন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের পথ সুদৃঢ় করতে চাই। সাধারণ মানুষকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক এবং সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে একাত্ববাদ হয়ে ঢাকা মহানগরী বিনির্মাণের প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮/আপডেট: ০৪১০ ঘণ্টা
এসই/এমইউএম/এজেডএস/এমএইচ/ওএইচ/