বুধবার (৩ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় পদ্মাসেতু নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার ছাত্র সমাবেশে খালেদা জিয়া নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে বলেন, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মাসেতু বানানো হচ্ছে। এই সেতুতে ঝুঁকি আছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এসব কিছু বোঝেন না, না বুঝে যখন যা খুশি তাই বলেন। তিনি যেটুকু বুঝেছেন সেটুকু বলেছেন। তাই তার এ বক্তব্যের ব্যাপারে আমি আর কী বলবো?
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবির্ষীর ওই কর্মসূচি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে মিলনায়তনের তালা বন্ধ রেখেছিলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ। এটা নিয়ে রাজনৈতিক সমালোচনা হয়। এ বিষয়েও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনায় হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, মিলনায়তনের ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষই দরজা বদ্ধ রেখেছিলো। পরে ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে দরজা খুলে দেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভা সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রসঙ্গটি উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তালা বন্ধের ঘটনাটি জানার পর আমি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জানাই। এটা কেন হচ্ছে, এতে সরকারের সমালোচনা হবে। বিষয়টি তাকে দেখতে বলি। ওবায়দুল কাদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি সঙ্গে কথা বলেন। কেন মিলনায়তনের দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে, এতে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ ওবায়দুল কাদেরকে জানায়- ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেনি বলে দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের তখন তাদের বলেছে ভাড়ার টাকা পরিশোধ হয়েছে কি হয়নি সেটা পরে দেখা যাবে, তাদের যেহেতু ভাড়া দেওয়া হয়েছে তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিন। এটা নিয়ে সরকারের সমালোচনা হবে। এরপর দরজা খুলে দেয় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এসকে/এমজেএফ