বুধবার (০৩ জানুয়ারি) নিহতদের মধ্যে সফিরুন বেগমের বোন কবিরুন বেগম বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় এ মামলা (নং-০১(০১)’১৭) দায়ের করেন। মামলায় কোয়ারি মালিক আব্দুস সাত্তার, শাহাব উদ্দিনসহ ১৫ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে শাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তিনি জাফলং নয়াবস্তি গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া কোয়ারির আরেক মালিক আব্দুস সাত্তার অন্য মামলায় কারাগারে আছেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বিকেলে জাফলংয়ের জুম মন্দির এলাকায় পাথর কোয়ারিতে মাটি চাপায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। এতে আহতদের একজন রাতে মারা গেলে নিহতের সংখ্যা পাঁচজনে উন্নীত হয়। প্রাথমিকভাবে নিহত নূর মিয়ার পরিচয় পাওয়া যায়। পরে সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহত অন্যরা হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়চং জামালপুর গ্রামের তাজ উল্লার ছেলে সাদেক মিয়া (৩৫), কই উপজেলার বানেশ্বর পাড়ার ইব্রাহিম আলীর ছেলে জহুর আলী (৬৫), তার ছেলে মুজাহিদ (২২) মেয়ে সাকিরুন বেগম (২৬)। বুধবার বিকেলে নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে জাফলং জুমপাড় মন্দির এলাকায় আবদুস সাত্তারের পাথর কোয়ারিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নিহত নূর মিয়ার (৪০) পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে।
এছাড়া সাদেক মিয়া, হেলাল মিয়া ও মিজানুর রহমানকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেক মিয়া মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এনইউ/জেডএস