রোববার (০৭ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আব্দুস সালাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তিনি।
এমএ ছাত্তার খুলনার মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান বায়োনিক সি-ফুডস এক্সপোর্টার্স লিমিটেড এবং নগরীর গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমান। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীসহ একাধিক আইনজীবী।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এমএ ছাত্তার মাছ কেনার জন্য রূপালী ব্যাংক খুলনার শামস বিল্ডিং শাখার তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ম্যানেজার মো. আব্দুর রহমানের যোগসাজশে মোট ছয় কোটি ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে তিনি ওই টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেন। এ টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ অর্থাৎ চার কোটি ৭৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯০ টাকা সরকারি হওয়ায় দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তিনি রোববার খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে অপর আসামি ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আদালতে হাজির হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমআর/এনটি