রোববার (৭ জানুয়ারি) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বেতাগী সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ওপর তদন্তভার দিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় আসামিরা হলেন-একই গ্রামের আতাহার সিকদারের ছেলে কাওসার, মেরাজ আলীর ছেলে রাজন ও সুমন।
মামলার বাদী গৃহবধূর বাবা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তার মেয়ের স্বামী রুহুল আমীন ব্যবসার কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা বাসার বাইরে থাকেন। এই সুযোগে আসামি প্রতিবেশী কাওসার প্রায়ই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন।
এ ব্যাপারে রুহুল আমীন বৃহস্পতিবার সকালে তার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করে কাওসারকে শাসিয়ে যান। এতে কাওসার প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠেন।
শুক্রবার দুপুরের পর গৃহবধূ নিজ বসতঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলো। এসময় ঘরে ঢুকে কাওসার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। গৃহবধূর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী শহিদুল, নুরজাহানসহ অনেকে এগিয়ে এসে কাওসারকে আটক করে রাখে।
এ সময় আসামি রাজন ও সুমন লাঠি দিয়ে গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে কাওসারকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
আহত গৃহবধূকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে বেতাগী ও পরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আসামি কাওসার বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে আমিও মামলা করেছি। তারাও আমাদের পিটিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ০৭ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ