দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রোকোণা জেলাসহ মোট ২৫টি জেলায় ১ কোটি ৬০ লাখ পরিবারের তথ্য সংগৃহীত হবে।
এভাবে তিন ধাপে সারাদেশ থেকে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ খানা থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক আমীর হোসেন এবং এনএইচডি প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ে রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৭টি জেলায় ৮৬ লাখ ৯ হাজার পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায় ২৫ জেলায় তথ্য সংগ্রহ হবে। তৃতীয় পর্যায়ে সিলেট, খুলনা বিভাগের ২২ জেলায় তথ্য সংগ্রহ হবে। সারা দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে খানা তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। যেসব মন্ত্রণালয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে তারা এই তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য নিয়ে সুবিধাভোগী নির্বাচন করবে। ফলে দ্বৈততা পরিহার করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৭২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ৬৮৬ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটা পরিবারের (খানা) সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ