এদের মধ্যে নেসার আলী ও ওজায়ের আহমেদের ফাঁসি এবং শামছুল হোসেন তরফদার, মোবারক মিয়া ও ইউনুস আহমেদকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সরেজমিন রাজনগর উপজেলার গয়াসপুর গ্রামের ওজায়ের আহমেদ চৌধুরী ও একই উপজেলার সোনাটিকি গ্রামের মৌলভী ইউনুছ আহমদের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ দেখা গেছে।
গোয়াসপুর গ্রামের বাসিন্দা রহমত মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, যারা মুক্তিবাহিনীকে মেরেছে তাদের ফাঁসির রায় হয়েছে এটা আনন্দের বিষয়। বাংলাদেশের প্রত্যেক রাজাকারের এভাবে বিচার হওয়া উচিৎ।
এদিকে এ রায় নিয়ে শহরের পাড়া মহল্লা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রগতিশীল আন্দোলন কর্মীসহ জেলার সব শ্রেণিপেশার মানুষ আনন্দিত। তবে তাদের দাবি এ রায় দ্রুত কার্যকর করা।
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক জুবায়ের আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হচ্ছে আজকের এ রায়। এখন আমাদের দাবি হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এ রায় কার্যকর করা।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, বর্বরোচিত এ রাজাকারদের ফাঁসির রায়ে মৌলভীবাজারবাসী আনন্দিত। এ রায়ে মৌলভীবাজারবাসীর একটি কলঙ্ক মোচন হলো। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এ রায় হয়েছে। সেদিনের আনন্দের সঙ্গে আজকের এ রায় ঘোষণার আনন্দ মিশে গেছে।
উল্লেখ্য, রাজনগর উপজেলার দক্ষিণখোলা গ্রামে মুক্তিযুদ্ধকালে সংগঠিত গণহত্যার অন্যতম দুই হোতা মো. নেসার আলী ও ওজায়ের আহমেদ চৌধুরীর সর্বোচ্চ সাজা এবং মামলার অন্য তিনজন সামছুল হোসেন তরফদার ওরফে আশরাফ, ইউনুস আহমেদ ও মোবারক মিয়াকে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত দুই অভিযুক্ত ইউনুছ আহমেদ ও ওজায়ের আহমেদ চৌধুরীকে রাজনগর থানা পুলিশ আটক করে। বাকীরা পলাতক রয়েছে। ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর এ মামলার পাঁচ আসামির বিচার শুরু করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ১০ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ