বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান এসব কথা জানান।
আনোয়ার লতিফ খান বলেন, ইজতেমা মাঠ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২টি সেক্টরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ইজতেমাস্থলের অভ্যন্তরে ছদ্মবেশে ও পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ, গাড়ি এবং মোটরসাইকেলে ইজতেমা এলাকায় টহলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তাছাড়া ইজতেমা সংলগ্ন তুরাগ নদীতে সার্বক্ষণিক নৌ টহলের পাশাপাশি র্যাবের একটি চৌকশ দল হেলিকপ্টার যোগে ইজতেমা ময়দানকে ঘিরে আকাশপথে পর্যায়ক্রমে টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।
ধরণের চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় জল, স্থল ও আকাশ পথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বোম ডিস্পোজাল এবং ডগ স্কোয়াড ইউনিট মোতায়েনের পাশাপাশি ইজতেমা মাঠে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার এবং আড়াই শ’ সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। র্যাব সিসিটিভি’র মাধ্যমে পুরো মাঠের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে।
বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে স্থল ও নদী পথে যেকোনো ধরনের অবৈধ প্রবেশ বন্ধে এবং ছিনতাই, পকেটমার ও অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টি মতো অপরাধ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
র্যাবের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা আরো বলেন, র্যাব সদস্যরা অসুস্থ মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা দেবেন। যদি কোনো মুসল্লি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাকে অ্যাম্বুলেন্সে যোগে হাসপাতালে পৌছানোর ব্যবস্থাও থাকছে।
মাওলানা সাদের আসায় যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ইজতেমায় এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ৫৩তম পর্ব শুরু হচ্ছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারো বিশ্ব ইজতেমা দুইটি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব ১২ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
পিএম/ওএইচ/