বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিষয়ে ভর্তি হয়ে রায়হান প্রথম ক্লাস করেন।
২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর ‘তিন ভার্সিটিতে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত রায়হানের’ শিরোনামে বাংলানিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
রায়হানকে যারা সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন- ঢাকার মোশাররফ ১৫ হাজার, সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি ১৫ হাজার, রামপুরার রায়হান ১০ হাজার, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাবু ১২ হাজার, সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফজলে রেজা রিজভী ২০ হাজার, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেকচারার ১০ হাজার, সিঙ্গাপুর প্রবাসী মিজানুর রহমান পাঁচ হাজার, দুবাই প্রবাসী রিপন চন্দ্র সেন চার হাজার টাকা দেন। এছাড়া, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও ঢাকার রিমন নামের এক ব্যক্তি মাসিক সহযোগিতার মাধ্যমে রায়হানকে আজীবন পড়াশুনার খরচ দেবেন। এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুলশানের এক ব্যক্তি রায়হানের ভর্তির সময় ১৩ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ভর্তি করিয়ে দেন।
যাদের সহযোগিতায় ঢাবিতে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, ‘লোজিংয়ে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখাপড়া করেছি। আর টিউশনির টাকা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করেছি। অনেক কষ্টে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছিলাম না। আমার দিনমজুর বাবার পক্ষে সম্ভব ছিলো না আমাকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে পড়াশুনার খরচ চালানো। ঢাবি তো দূরের কথা। আমাকে নিয়ে বাংলানিউজে প্রতিবেদন প্রকাশের পর যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন লেখাপড়া শিখে ভালো মানুষ হতে পারি। সবার এ সহযোগিতার মর্যাদা যেন রাখতে পারি। ’
রায়হানের বাবা বজলুর রহমান শিকারী বাংলানিউজকে বলেন, যারা রায়হানকে সহযোগিতা করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নেই। আমি তাদের প্রতি চিরঋণী এটুকুই বলতে পারি।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিবুনিয়া গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন রায়হানের পরিবার। দিনমজুর বাবা সামান্য আয়ের টাকা দিয়ে কোনমতে সংসার চলে তাদের। মা সেলিনা বেগম গৃহিনী। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রায়হান সেজো। তারা চার ভাই-বোন লেখাপড়া করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এমআর/এনটি