বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ০১৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ লাখ ৪০ হাজার ৬০৮ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ হাজার ১৪৬ লিটার বাংলা মদ, ৪৯ হাজার ৬৫০ ক্যান বিয়ার, ৩ লাখ ২৮ হাজার ৬৮৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৩৫৭ কেজি গাঁজা, ৪৪ কেজি ৩২৪ গ্রাম হেরোইন, নেশাজাতীয় ইনজেকশন ২৮ হাজার ২৮০ এবং ১ কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৫১টি অন্যান্য ট্যাবলেট রয়েছে।
জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৮টি শাড়ি, ৫০ হাজার ৫৯০টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৪৭ হাজার ০১৩ মিটার থান কাপড়, ১৮ হাজার ৪০১টি তৈরি পোশাক, ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৬০ সিএফটি কাঠ ও ৪২ কেজি ১০৬ গ্রাম স্বর্ণ। একই সময়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি পিস্তল, ৪৮টি বন্দুক, ৩শ’টি গুলি, ৬১টি ম্যাগাজিন এবং ১টি রিভলবার।
বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ৬৮৯ জন এবং অনুপ্রবেশের দায়ে ১ হাজার ১১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এছাড়া মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটি সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন ও জাতিগত নিধন কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে গত ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশ করে। বিজিবি প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়, নিরাপত্তা সহায়তা, সীমিত মেডিকেল সহায়তা দেওয়াসহ বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তর এবং রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
২০১৬ সালে বিজিবির অভিযানে ১১৬১ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য জব্দ হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এসজেএ/ওএইচ/