বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পাটমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত ৩০ নভেম্বর অবধি অবিক্রিত মজুদ পাটজত পণ্যের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৪২৭ দশমিক ৫২ মেট্রিক টন।
পাটমন্ত্রী আরও জানান, অবিক্রিত এসব পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে সরকার ৪টি পদক্ষেপ নিয়েছে- যার আওতায় অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটজাত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে অবিক্রিত মজুদ থেকে ৩৩ লাখ পিসসহ মোট ১৯ কোটি ৬০ লাখ পিস পাটজাত পণ্য বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) কাছে বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে।
সুদানের টেন্ডারের বিপরীতে সম্প্রতি এক লাখ বেল বিটুইল পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। অবশিষ্ট বিটুইল বস্তাও এলসি (ঋণপত্র) পাওয়ার ভিত্তিতে শিগগিরই রপ্তানি হবে। অন্যান্য মজুদ পণ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান মন্ত্রী।
হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, বিদেশে পাট রপ্তানির জন্য কোনো দেশের সাথে আমাদের রফতানি চুক্তি নেই। যেসব দেশে পাট রফতানি হচ্ছে সেগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, আইভরিকোস্ট, এলসালভাদর, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, রাশিয়া, জিবুতি, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্র, ইথিওপিয়া ও তিউনিশিয়া।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকার দলীয় এমপি বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের বস্ত্র ও বস্ত্রজাত দ্রব্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করে বিগত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৯২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। যার পরিমাণ ২৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিণ ডলার।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, ওই অর্থবছরে বিজেএমসির পাটজাত দ্রব্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন। যার আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ২৬৩ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৮৮ হাজার ৫১২ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য বিদেশে রফতানি করে ৭৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। যা ছিলো লক্ষ্যমাত্রার ৫৮ শতাংশ। রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
আওয়ামী লীগ দলীয় আরেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছরে ভোলাহাটে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) দুটি আইডিয়াল রেশম পল্লী স্থাপন করেছে। আগামী জুলাইয়ে শুরু হতে যাওয়া ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পুরো প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনের বিবেচনাধীন অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এসএম/এসকে/এমজেএফ