ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টঙ্গীর জোড়া খুনের নেপথ্যে মাদক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
টঙ্গীর জোড়া খুনের নেপথ্যে মাদক বক্তব্য দিচ্ছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই গাজীপুরের টঙ্গীতে আক্তার হোসেন (৩৫) ও আসিবুর রহমান মিমকে (২৭) হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেফতারকৃত হুমায়ুন কবির। হুমায়ুন এরআগেও তাদের বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করেছিলো বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।  জোড়া খুন মামলার গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামি।                     <div class=

ছবি: বাংলানিউজ" src="http://cdn.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Double-murder20180118142428.jpg" style="margin-bottom:5px; margin-top:5px; width:100%" />এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে টঙ্গী থানার দত্তপাড়ার ইশানাদি সরকার রোডের নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় আক্তার ও তার চাচাতো ভাই আসিবুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতক আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ১৪ ডিসেম্বর টঙ্গী থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর-৩৮) দায়ের করা হয়।

ঘটনার তদন্তে নেমে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টঙ্গীর দত্তপাড়া ধুমকেতু স্কুলের সামনে থেকে হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে দু'টি বিদেশি পিস্তল, দু'টি ম্যাগজিন, ৭ রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি, একটি ছুরি ২৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হুমায়ুন কবির (২৪), জুয়েল শিকদার (১৯), জীবন (২৯), বিল্লাল হোসেন (১৮) ও রবিউল রবু (১৮)। টঙ্গীতে জোড়া খুন মামলার ৫ আসামি গ্রেফতার সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে গ্রেফতারকৃত হুমায়ুনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র টঙ্গীর এরশাদ নগর ও দত্তপাড়ায় মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলো। হুমায়ুনের এই গ্রুপটি দত্তপাড়ায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপে পরিচিত। তারা মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে ছিনতাই-রাহাজারিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, এলাকার বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি- নিহত আসিবুর-আক্তার সম্প্রতি মাদক ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করেন। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

এর আগে আক্তার সাত বছর ধরে দুবাই ছিলেন। দুবাই থেকে গত দুই বছর আগে দেশে ফিরে এসে একটি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। হত্যার দুই মাস আগে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।

অন্যদিকে, আসিবুর চার বছর ইতালিতে ছিলেন, তিনি দেশে গত ৮/৯ মাস আগে দেশে ফিরে আসেন।

তিনি বলেন, তারা দু’জনই দ্রুত বিত্তশালী হতেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তারা দ্রুত এলাকায় মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে নিযে নেয়। এতেই এলাকার হুমায়ুন গ্রুপ ও মিম গ্রুপের বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায় হুমায়ুন তাদের হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হুমায়ুন ও বিল্লাল টঙ্গীর সম্রাট হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও ছিনতাই মামলাও রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসজেএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।