বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিটের শুনানির পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা দাখিলের জন্য ৩ সপ্তাহের সময় ধার্য করেছেন আদালত।
ফেলানী হত্যা মামলায় তার বাবা নুরুল ইসলামের আইন সহায়তাকারী ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন ভারতের সুপ্রিমকোর্টে শুনানি অনুষ্ঠানের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাটাতারের বেড়ায় ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে খুন হয় কিশোরী ফেলানী।
পরে নিহত ফেলানীর মরদেহ ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের কাটাতারে বেঢ়াতেই ঝুলে থাকে দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা মরদেহের ছবি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে সমালোচনার ঝড় তোলে।
সেসময় বিজিবির দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। ফেলানীর বাবা দু’দফা বিএসএফ’র আদালতে সাক্ষি দিয়ে এলেও ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। রায় পুনর্বিবেচনার বিজিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পুনর্বিচারে আবারও অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিশেষ আদালত।
পরে মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে ২০১৫ সালে ভারতের আইনজীবী অপর্নাভাট ও মানবাধিকার সংগঠন মাসুম’র সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন নুরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এফইএস/এসএইচ