বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ডুজার সভাপতি আসিফ ত্বাসীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন এক বিবৃতিতে এ পরিবেশ প্রত্যাশা করেন।
এতে তারা বলেন, সম্প্রতি ঢাবি ক্যাম্পাসে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।
একটি প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকদের কাজ করতে হচ্ছে। এসব ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত।
অতিসত্ত্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত কোনো একটি ঘটনারও বিচার করেনি। আমরা লক্ষ্য করছি, কোনো কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠনের নামে বিচার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার কৌশল নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং এর আগে একাধিক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বহিষ্কৃতদের নতুন করে পদায়ন করা হয়েছে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রত্যাশিত কাজের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
গত ১৬ জানুয়ারি রাতে বকশিবাজার এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন রেডিও টুডের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক নাজমুল হুদা ও সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আবদুল্লাহ আল জুবায়ের।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ডেইলি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আশিক আবদুল্লাহ অপু ও আলোকিত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মামুন তুষারের ওপর হামলা করা হয়। তাদের ধাক্কা দিয়ে ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত দেরি করে অফিসে আসার অভিযোগের তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কবিরুল ইসলাম কাননের ওপর হামলা করেন সেকশন অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন, মো. আহসানুল কবির ও রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত পিএস শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন।
এর আগে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/