শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ১৪ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫।
ঢাকা ভূমিকম্প নিরূপণ সেন্টার থেকে বেতার সুপারভাইজার জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এটি ছিল মৃদু ভূমিকম্প। যার উৎপত্তি স্থান ছিল বাংলাদেশ-ভারত এবং দেশের নর্থ জোন সীমান্তের শেষ সীমানায়।
এজন্য রাজশাহী, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এর মাত্রা এবং স্থায়ীত্ব ছিল কম।
মৃদু ভূমিকম্পের ফলে রাজশাহীতে হালকা ঝাকুনি অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং মুহূর্তের মধ্যেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ভূমিকম্পের সময় সাধারণ মানুষ উঁচু ভবন ও ঘর থেকে আতঙ্কে বেরিয়ে আসেন। তবে এতে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি বা হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে রাজশাহী সদর দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ভূমিকম্পের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এরপরও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে দমকল বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান এ কর্মককর্তা।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি রাজশাহীতে মৃদু ভূ-কম্পন অনূভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের ত্রিপুরায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
এসএস/এসআই/এএটি/আরএ