শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে বনশ্রী অক্সফোর্ড স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে এ কথাগুলো বলেছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা ও সরকারি কর্মকর্তা দিদারুল আলম।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ব্রিজ থেকে হাতের বাম দিকে বনশ্রীর দিকে ঢুকতেই ধুলার রাজ্য শুরু হয়।
এ সড়কে বসিলা, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, ধউর, আব্দুল্লাহপুর থেকে রমজান, গ্যালাক্সি, রবরব, অছিম, আলিফ, স্বাধীন পরিবহনের গাড়িগুলো ডেমরা হয়ে মদনপুর পর্যন্ত চলাচল করে। মাদারটেক পর্যন্ত চলাচল করে লেগুনা।
সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত কার, কাভার্ড ভ্যান, পিক-আপ ও জিপ গাড়ি এ সড়ক ধরে, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলাচল করে। সব মিলিয়ে বেশি গাড়ি চলাচল করায় সড়কটি প্রায় সময় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সড়কের ধুলাবালিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানীর বনশ্রী, বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার মানুষের জনজীবন।
অছিম গাড়ির যাত্রী স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন, এ ধুলা খেয়ে আমাদের দিন যায়। সব সময় রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। ঠিক করলেও রাতের বেলায় লরি, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলার কারণে গর্তের সৃষ্টি হয়। এদিকে উন্নয়ন কাজ চলায় মাটি ও বালুর কারণে ধুলার সৃষ্টি হয়।
তবে কিছু কিছু অংশে সড়কের পাশের ব্যবসায়ীরা পানি ছিটিয়ে ধুলা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পানি শুকিয়ে গেলে ফের ধুলার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় দোকানি মোমেন মল্লিক বলেন, ধুলা আর ময়লার কারণে এ সড়কের পাশে থাকা দোকানগুলোর অবস্থাও খারাপ। এগুলো দেখার কেউ নাই। মিউনিসিপালটি উন্নয়নের কাজ করেই যাচ্ছেন। শেষ হবে কবে জানি না। আবার উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে, তারপরও ভারি যানবাহনও চলাচল করছে। এ কারণে বার বার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে, রাস্তা এবং ড্রেনের উন্নয়ন এক সঙ্গে শেষ করলেও হয়তো এ ধুলা থেকে বনশ্রীবাসী মুক্তি পেতে পারে।
তিনি বলেন, শুধু আমরা দোকানিরাই নয়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরাও। এখানে অনেক স্কুল কলেজ আছে। ধুলার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
ইএস/ওএইচ/