প্রায় দুই মাস ধরে লালমাটিয়ার ডি ব্লকের রাস্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানালেন ওই এলাকার বাসিন্দা শোভন ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুই মাস পার হয়ে গেছে এখনও রাস্তা ঠিক হয়নি।
লালমাটিয়া ডি ব্লকের রাস্তায় কাজ করছিলেন ছলিম নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। তিনি বলেন, এই রাস্তায় দেড় মাস আগে কাজ শুরু হয়েছে। আরও তিন মাস লাগবে কাজ শেষ হতে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে এই রাস্তার কাজ নিয়েছে এ বি প্রোপার্টিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। রাস্তার মাথায় রাখা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্প। ’ কাজ শুরুর তারিখ উল্লেখ রয়েছে ১১ নভেম্বর আর কাজ শেষ হওয়ার সময় ধরা হয়েছে আগামী ১০ মার্চ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে লালমাটিয়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার মাঝ বরাবর মাটি খুঁড়ে ড্রেনেজ সংস্কারের কাজ চলছে। এমনভাবে রাস্তা খোঁড়া হয়েছে তাতে রিকশা তো দূরের কথা হেঁটেও চলা দুষ্কর।
এসব এলাকার বাসিন্দারা এখন আর গাড়ি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন না। দূরে কোথাও গ্যারেজ ভাড়া করে গাড়ি রাখছেন। অনেকে আবার হেঁটে কাছাকাছি দূরত্বে চলাচল করছেন। রাস্তা কাটার কারণে এলাকাবাসীর বাজার করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
তবে দীর্ঘ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে এই ভোগান্তি অনেকেই মেনে নিয়েছেন। কারণ লালমাটিয়া এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক ছিল। এই এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিতো, সেকারণে এই খোঁড়াখুঁড়ির চললেও কেউ অভিযোগ করছেন না। তবে কাজ দ্রুত শেষ করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পাইপ বসানোর কাজ হয়ে গেছে এখন স্লাপ কাস্টিং এর কাজ চলছে। স্লাপ কাস্টিং হয়ে গেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করে দেবো।
রাস্তার দুর্ভোগ নিয়ে মো. আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের স্যাররা এখন বাসায় গাড়ি নিয়ে আসেন না। রাস্তার মুখে আবার কেউ গ্যারেজ ভাড়া করে রাখছেন। কবে কাজ শেষ হবে সেটাও জানি না।
এদিকে রাস্তা কাটার পর যে মাটি রয়েছে সেগুলো দিয়ে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে একটি পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এই পুকুর ভরাট করা হলে লালমাটিয়াসহ ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এলাকায় দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এসএম/আরআর