২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন তারানগর ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে হাত পা ও মাথা বিহীন মরদেহের একটি টুকরা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-মাকসুদা আক্তার লাকী, তার দেবর নজরুল ইসলাম নজু ও সালাহ উদ্দিন।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান।
এসময় তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত মরদেহটি ছিলো সাভার থানার কাইসার চর এলাকার স্বর্ণকার মফিজুল ইসলামের। তিনি স্বর্ণ ব্যবসার পাশাপাশি কবিরাজি করতেন। আসামি মাকসুদা আক্তার তার কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে তিনি মাকসুদাকে ব্ল্যাকমেইল করে তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে মাকসুদা ক্ষুদ্ধ হয়ে বিষয়টি তার দেবর নজরুল ইসলাম নজু ও সালাহ উদ্দিনকে জানায়। পরে মাকসুদা মফিজুলকে হত্যা করার জন্য তাদের ২ জনের সঙ্গে লাখ টাকায় চুক্তি করে। ৩১ ডিসেম্বর মফিজুল মাকসুদার বাড়িতে এলে চা ও তরকারির সঙ্গে তাকে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে সে ঘুমিয়ে পড়লে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য প্রথমে দেহ থেকে মাথা আলাদা করা হয় পরে হাত ও পায়ের ৮ টুকরা করা হয়। এরপর নজরুল ও সালাহ উদ্দিন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে মরদেহের টুকরোগুলো বিভিন্ন ডোবায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয়।
২ জানুয়ারি হাত পা ও মাথা বিহীন মরদেহের একটি টুকরা ভেসে উঠে। পরে ৩ দিন আগে একই এলাকার একটি খাল থেকে মরদেহের মাথাটি উদ্ধার করা হয়। তবে হাত পায়ের ৮ টুকরো এখনো উদ্ধার হয়নি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, চাপাতি ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-সহকারী পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ জামান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন, উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, কাজী এনায়েত ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম মৃধা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ২০ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ