শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেনে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয়। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) স্প্যানটি যাওয়ার কথা থাকলেও ক্রেনের ত্রুটির কারণে স্থগিত করে পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা।
সহকারী প্রকৌশলী (মূল সেতু) হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, ধূসর রঙে রাঙানো ৭বি স্প্যানটি শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট ও পদ্মাসেতুর নিজস্ব চ্যানেল ব্যবহার করে যাবে। বিকেল চারটার দিকে ক্রেনটি স্প্যান নিয়ে রওনা হয়েছে। দুই দিন সময় লাগবে জাজিরা প্রান্তে ৩৮ ও ৩৯ নং পিলারের উপর পৌঁছাতে। সন্ধ্যায় ৩০ ও ৪০ নং পিলারের কাছে রাখা হবে এবং পরদিন রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে আবার রওয়ানা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট ম্যারিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, ২০ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তাৎক্ষণিক যেকোন সময়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা। স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি ধীরগতিতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট দিয়ে যাবে। এসময় কোনো রকম নৌযান চালানো যাবে না।
৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসানোর পর প্রতি মাসেই একটি করে স্প্যান ওঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিলেন পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা। তবে নানাবিধ জটিলতায় তা আর হয়ে উঠেনি। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ পিলারের উপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো এবং সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।
**পদ্মাসেতুর ক্রেনে ত্রুটি, দ্বিতীয় স্প্যান যাচ্ছে শনিবার
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এনটি