হাসপাতাল থেকে সবার অগোচরে বেরিয়ে ঢামেকের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন গেটের ফুটপাতের দোকানে ‘ভাঙচুরের কারণে’ শনিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে গাছের সঙ্গে পেছনে হাত নিয়ে বেঁধে বেশ কিছু সময় তাকে ফেলে রাখা হয়। পরে পথচারীরা তার বাঁধন খুলে দেন এবং চিকিৎসা চলতে থাকা ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, মাথায় আঘাতজনিত কারণে ৩-৪ দিন আগে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে এই ব্যক্তিকে ঢামেকের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন এক যুবক। বেলা ৩টার দিকে তিনি ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যান সবার অগোচরে।
হকারদের অভিযোগ, তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জরুরি বিভাগের মেইন রাস্তা সংলগ্ন ফুটপাতে ফল, সিগারেট ও মোবাইল রিচার্জের দোকান ভাঙচুর করতে থাকেন। এতে দোকানদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। সেসময় তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেখতে পান অনেকে।
এসআই বাচ্চু জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায়, পথচারীরা ওই ব্যক্তির বাঁধন খুলে দেন এবং তাকে ফের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। ওই ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, তার নাম জাহিদুল ইসলাম। বরিশালের বানারীপাড়ার বিশালকান্দি গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে তিনি। স্বজনরাও বলেছেন, তিনি মানসিক রোগী।
জাহিদুলের ভাই মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, তার ভাই জাহিদুল। ২৪-২৫ দিন আগে বরিশাল থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসেন। কিন্তু তিনি ৬-৭ বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন। ছয় মাস ভালো থাকলে এক মাস আবার অস্বাভাবিক আচরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/