শনিবার (২০ জানুয়ারি) উপজেলার অরণকোলা এলাকার এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বেলা ১২টা থেকে নিখোঁজ ছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে ঈশ্বরদী অরণকোলা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামের শিশু কন্যা আতিকা জান্নাতকে অপরিচিত কেউ চুরি করেছে এমন অভিযোগে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। পরে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঈশ্বদীর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করে আতিকার খোঁজ না মিললে রাতে শিশুটির বাবা আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। পরে আলমারিতে কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় শিশু আতিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আতিকার মা নিশি খাতুন জানান, দুপুরে আতিকাকে ঘরের খাটে শুইয়ে রেখে ছাদে রোদ পোহাতে গিয়েছিলেন তিনি। পরে ছাদ থেকে ঘরে এসে দেখেন তার মেয়ে নেই। এসময় বাড়ির চারপাশ ও পাশের বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়। দুপুর থেকে অনেক খোঁজ করেও আতিকার সন্ধান না পাওয়ায় ঈশ্বরদী থানায় বিষয়টি জানানো হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশুটির বাবা, দাদা-দাদীসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশু আতিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস