শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। রাতে তাদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- রূপক বড়ুয়া, রবি জয় চাকমা, অনুপম চাকমা ও মিশন ত্রিপুরা।
স্থানীয় জানায়, সকালে পুনর্বাসন এলাকায় কাজ করতে গেলে খোকন ত্রিপুরা ও আশিক ত্রিপুরার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে ওই চার চাঁদাবাজ। এসময় তারা চাঁদা না দেওয়ায় তাদেরক মারধর করে চাঁদাবাজরা। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিকেলে তারা ওই চাঁদাবাজদের আস্তানায় গিয়ে ধাওয়া করে।
এসময় ছয় চাঁদাবাজের মধ্যে দুইজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও চার জনকে আটক করা হয়। এসময় ওই আস্তানা থেকে ২টি দেশীয় পিস্তল, ১০ রাউন্ড একে-২২ রাইফেলের গুলি, চার রাউন্ড এলজির গুলি ও নগদ অর্থসহ বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে থানায় জানানো হয় বলে জানান তারা।
এদিকে আটককৃতদের নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
সংগঠনটির জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা অভিযোগ করে বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য আমরা পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করি। আমাদের কর্মীরা সেখানে পাথর উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় স্থানীয় জনগণ তাদের ধরে নিয়ে গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আটক চার চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস