রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, রোববার (২১ জানুয়ারি) রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৫১ মিনিটে। তবে সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
বর্তমানে দৃষ্টিসীমা ২শ’ মিটারের নিচে নেমে এসেছে। ভোর থেকে প্রধান সড়কগুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। বেলা যতই বাড়ছে কুয়াশাও যেন আড়মোড়া দিয়ে প্রকৃতির সব কিছুকে কোলের মধ্যে টেনে নিচ্ছে। এর উপর বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের তাপ না থাকায় হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন শহরের পথে-ঘাটে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। এবার টানা শৈত্যপ্রবাহ ভর করেছে রাজশাহী অঞ্চলে। এতে শীতের দাপট অব্যাহত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা কম থাকায় আবারও বাড়ছে শীতের দাপট।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান রোববার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার ছিল ৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে আজ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, মাঘ মাসে এমন কুয়াশা পড়া অনেকটায় স্বাভাবিক। সাধারণত এই কুয়াশা শীতের বিদায় বারতারই জানান দিচ্ছে। প্রকৃতিতে কুয়াশার ঘোর কাটলেই ১০/১২ দিনের মধ্যে রোদের তীব্রতা দ্বিগুণ হবে। এদিকে এমন ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকলে কৃষিতে ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এ সময়টায় এসে কুয়াশার কারণে বরাবরই বোরো বীজতলা ও রবি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে বোরোতে কোল্ড ইনজুরি ও আলুতে লেট ব্লাইট (পচন) দেখা দেয়। তবে পরস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
রাজাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, এবছর শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ কম। তবে শেষ সময়ে এমন আবহাওয়া রবি শস্যের জন্য কাল হয়ে ওঠে। তাই কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্ক রয়েছেন।
বর্তমানে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করছেন। ফসলকে নিরাপদ রাখতে কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
এছাড়া কৃষকরাও আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠেছেন। মোবাইল অ্যাপস ও হট লাইনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টাই কৃষি তথ্য সেবা নিচ্ছেন। সেই মতে ফসলের পরিচর্যাও করছেন বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এসএস/এএটি