রোববার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত দীর্ঘমেয়াদি ‘সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পে’র (তৃতীয় পর্যায়) অধীন শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘পাড়া কেন্দ্রের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
২০ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় রক্তক্ষয়-সংঘাত ছিল।
চুক্তিতে বাধা এলেও এর বাস্তবায়ন বেশিরভাগই হয়ে গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নে কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, আগের সরকারগুলো সমতল ভূমি থেকে মানুষদের সেখানে নিয়ে সংঘাত উস্কে দিয়েছিল। কিন্তু শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এই সংঘাতের পথ বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
সংঘাত বন্ধের ফলে পার্বত্যাঞ্চলে দ্রুতগতিতে উন্নয়ন চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সরকারের রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজসহ অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সুবিধা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেকের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগে সাজেক ভ্যালিতে পায়ে হেঁটে যেতে হতো, সাতদিন সময় লাগতো। এখন সেখানে সহজেই যাওয়া যায়, উন্নত যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে বলে।
পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের ভূমি অধিকার নিশ্চিতে ভূমি কমিশন কাজ করছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ব্রিটিশ আইনে নয়, সারাদেশের মানুষ যেভাবে ভূমির মালিকানা ভোগ করে, পার্বত্যবাসীও যেন সেরকম ভূমির অধিকার পায়, সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন আমাদের দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পার্বত্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মুকতাদির, বাংলাদেশে ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডওয়ার্ড বিগবেডার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
রাঙামাটি জেলার মিতিঙ্গাছড়িতে স্থাপিত এ পাড়া কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সুবিধাভোগীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ/