রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলা সদর থেকে এনায়েতপুর সড়কে কোনো বাস চলাচল করেনি। ঢাকা-বেলকুচি-এনায়েতপুর সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুরের যাত্রী সাধারণের। সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করলেও দিগুণ ভাড়া আদায়ের কারণে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা।
সিরাজগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি জিন্না আলমাজী বাংলানিউজকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাতেই আমাদের বাস ভাঙচুর করা হয়, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ অবস্থায় শ্রমিকের নিরাপত্তা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ওই রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
উল্লেখ্য, বেলকুচি পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা ও মেয়র আশানুর বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৮ জানুয়ারি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা ও যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক সরকারকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের সমর্থকরা সদরের রাস্তাঘাটে বেড়িকেড দিয়ে অন্তত ১০/১২টি যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময় তারা হেমা পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে ওইদিন রাতেই সিরাজগঞ্জ-বেলকুচি-এনায়েতপুর রুটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাক দেয় জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
আরবি/