রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বেনাপোল বন্দরের ৯২৫ হ্যান্ড লিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা এই কর্মবিরতি শুরু করেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এপথে ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানি করেন বেশি।
কর্মবিরতির পক্ষের শ্রমিক নেতা ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দুই মাস হচ্ছে তার শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আগে টন প্রতি ১৭.৫০ টাকা দরে পরিশোধ করা হলেও এখন দেওয়া হচ্ছে ১৬ টাকা। উচ্চ দ্রব্য মূল্যের বাজারে শ্রম দর না বাড়িয়ে আরও কমিয়ে দেওয়া শ্রমিকদের রক্ত ঝরানো ঘামের সঙ্গে এটা প্রতারণা। এছাড়া বন্দরের এখন ২৪ ঘণ্টা কাজ চললেও সেক্ষেত্রে কোনো বিবেচনা করা হচ্ছে না। এসব অনিয়ম পরিহার না করা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে বন্দরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রপ কমিউনিকেশনের প্রতিনিধি ওহিদুজ্জামান ওহিদ বলেন, আগের চেয়ে ভ্যাট বেড়েছে তাই পারিশ্রমিক কিছুটা কমেছে। আর তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে তা হিংসাত্মক। তিনি বন্দরের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাই তাকে সরানোর জন্য এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। বেতনের কিছু টাকা ইতোমধ্যে তিনি শ্রমিকদের একাউন্টে জমা দিয়েছেন। আর বাকি টাকা তার কাছে আছে। কিন্তু শ্রমিকরা ওই টাকা নিচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছেন দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য সচল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআর