ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বকেয়া বেতনের দাবিতে বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
বকেয়া বেতনের দাবিতে বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বেনাপোল (যশোর): বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বিভিন্ন অভিযোগে বেনাপোলে শ্রমিকদের একাংশের কর্মবিরতি চলছে। বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বেনাপোল বন্দরের ৯২৫ হ্যান্ড লিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা এই কর্মবিরতি শুরু করেন।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এপথে ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানি করেন বেশি।

প্রতিদিন এপথে প্রায়  সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে। আর ভারতে বাংলাদেশি উৎপাদিত পণ্য রফতানি হচ্ছে দেড়শ থেকে ২শ’ ট্রাক। প্রতি বছর সরকার এ বন্দর থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছেন। এ বন্দরটিতে পণ্য খালাসের জন্য দুটি হ্যান্ড লিংক শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ ও ৮২৫ ইউনিয়ন রয়েছে। এর একটি ৯২৫ নিয়ন্ত্রণ করছেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের সমর্থক পৌর কমিশনার রাশেদ আলী ও অপরটি নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান ওহিদ। বন্দরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে ‘ড্রপ কমিউনিকেশন’। যার প্রতিনিধিত্ব করছেন ওহিদুজ্জামান ওহিদ।

কর্মবিরতির পক্ষের শ্রমিক নেতা ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দুই মাস হচ্ছে তার শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আগে টন প্রতি ১৭.৫০ টাকা দরে পরিশোধ করা হলেও এখন দেওয়া হচ্ছে ১৬ টাকা। উচ্চ দ্রব্য মূল্যের বাজারে শ্রম দর না বাড়িয়ে আরও কমিয়ে দেওয়া শ্রমিকদের রক্ত ঝরানো ঘামের সঙ্গে এটা প্রতারণা। এছাড়া বন্দরের এখন ২৪ ঘণ্টা কাজ চললেও সেক্ষেত্রে কোনো বিবেচনা করা হচ্ছে না। এসব অনিয়ম পরিহার না করা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে বন্দরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রপ কমিউনিকেশনের প্রতিনিধি ওহিদুজ্জামান ওহিদ বলেন, আগের চেয়ে ভ্যাট বেড়েছে তাই পারিশ্রমিক কিছুটা কমেছে। আর তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে তা হিংসাত্মক। তিনি বন্দরের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাই তাকে সরানোর জন্য এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। বেতনের কিছু টাকা ইতোমধ্যে তিনি শ্রমিকদের একাউন্টে জমা দিয়েছেন। আর বাকি টাকা তার কাছে আছে। কিন্তু শ্রমিকরা ওই টাকা নিচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছেন দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য সচল হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।