আটককৃতরা হলো- রয়েল, সানি, আলিফ, জিসান ও সাগর। তারা সবাই অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ছাত্র।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম আল বেরুনী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে নিহত রাজিনের সঙ্গে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সম্পর্ক ছিলো। তারা একসাথে কোচিংয়ে পড়তো। নবম শ্রেণীর ছাত্র ফাহিম ওই মেয়েকে পছন্দ করতো। সে রাজিনকে ওই মেয়ের সঙ্গে কোচিংয়ে পড়তে নিষেধ করে। নিষেধ না শোনায় শনিবার রাতে ফাহিম ও তার বন্ধুরা মিলে খুলনা পাবলিক কলেজ ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রাজিনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এর আগে খুলনা পাবলিক কলেজের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী-২০১৮ উপলক্ষে দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিন শনিবার রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে রাজিনের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাজিনের বাবা শেখ জাহাঙ্গীর আলম মংলা বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, মা রেহেনা বেগম পুলিশ লাইন স্কুলের শিক্ষিকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে তানভীর ছোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এমআরএম/এএটি