এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশের হাতে দেওয়া হলে ঘটনার সাড়ে ৪ মাস পর হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে হিরু হাওলাদারকে (৩০) যাত্রাবাড়ী থেকে ১৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ১৯ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাপুর থেকে মো. রাসেল (৩০), ও মো. তাজুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হিরু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুর রহমান।
এসময় তিনি বলেন, প্রকৌশলী সিদ্দিক অপহৃত হওয়ার পর তার মোবাইল ফোন থেকে কল করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর দিনই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান মামলার তদন্ত শুরু করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে নিহতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। পরে একে একে অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এখনো ৬ আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে ডিবি পুলিশের অভিযান চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) রামানন্দ সরকার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ জামান, পরিদর্শক নাজমুল হাসান, উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, কাজী এনায়েত ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম মৃধা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ২১ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ