রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন।
সাজার আদেশপ্রাপ্ত সুমন লালপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের শফিক সরকারের ছেলে।
নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শাজাহান কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় আহম্মেদ মাস্টারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল লালপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের এক কিশোরী (১৪)।
পথে ওই গ্রামের কাশেম সরকারের আমবাগানের কাছে পৌঁছালে সুমনসহ কয়েকজন মুখ বেঁধে তাকে আম বাগানে ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে লালপুর থানায় কিশোরীটি নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্ত সুমন, তার বড় ভাই রান্টু সরকার ও তাদের বাবা শফিক সরকারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
পরে লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন মামলাটি তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় মামলার অপর দুই আসামি রান্টু সরকার ও শফিক সরকারের নাম বাদ দিয়ে বিচারের জন্য শুধু সুমন সরকারের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
একজন চিকিৎসকসহ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বিকেলে এ আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন তিনি নিজে এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট হারুনার রশীদ বুলবুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ২১ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ