জানা গেছে, গ্রামীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় মোট ১২৮টি সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। এর মধ্যে বাসাইল উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি সেতু রয়েছে।
এ ব্যপারে স্থানীয়রা মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানান বাসাইল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের কাছেও। কিন্তু ওই কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
স্থানীয়, বাবুল মিয়ার অভিযোগ সেতুটি নির্মাণের সময় ঠিকাদারকে দেখা যায়নি। সে সময় ধান কাটা শ্রমিকদের দিয়ে সেতুর কাজ করতে দেখা গেছে। এসব অনিয়মের ব্যাপারে প্রকল্প কর্মকর্তাকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। একই অভিযোগ স্থানীয় অনেকের। তাদের অভিযোগ প্রকল্প কর্মকর্তার উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণেই সেতুটির এ অবস্থা। স্থানীয় ১০/১৫ গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ চলে আসছে। সেতুটি হেলে গিয়ে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের এখন প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতের কারণে সেতুটি হেলে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উদ্বোধনের আগেই প্রায় ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি হেলে পড়ার বিষয়ে বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সেতুটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রকল্প অফিসের প্রকৌশলীরা এসে সেতুটি পরীক্ষা নিরিক্ষা ও পরিদর্শন করে গেছেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার জাহিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুন নাহার স্বপ্না বাংলানিউজকে জানান, তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ২১ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ