এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন গাবতলীর বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ঝুটন সরকার।
রাজধানীর গণপরিবহনগুলো যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচল করছে সেটা যে কারো চোখে ধরা পড়বে।
রাজধানীতে পরিবহনের তুলনায় সড়ক এখন সীমিত। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তীব্র যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বাস-প্রাইভেটকারের যত্রতত্র পার্কিং আর যাত্রী ওঠানামা করা যানজটের অন্যতম কারণ।
অনেক জায়গাতেই কোনো বাসস্টপেজ নেই। এক্ষেত্রে যাত্রী ওঠানামার জন্য রাস্তাই ভরসা। তাছাড়া প্রতিযোগিতার কারণে এক বাসের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় আরেক বাস। তারও পিছনে লাইন লেগে যায় আরও কয়েকটা বাসের। সেগুলোও আবার দাঁড়িয়ে থাকে আড়াআড়িভাবে, রাস্তার স্বাভাবিক যানচলাচল বাধা দিয়ে। ফলে পেছনের গাড়িগুলো চলাচলের কোনো উপায় পায় না। এতে লেগে যায় যানজট।
বাসের পরেই রয়েছে ‘লেগুনা’ নামে পরিচিত অদ্ভুত এক যান। কোনো সিগন্যাল একেবারেই মানতে দেখা যায় না এদের। সামান্য জায়গা পেলে সেখান দিয়েই চলাচলের চেষ্টা করে। বেঁধে যায় জট। হর্ন, সিগন্যাল কোনো কিছুই যেন তাদের বোধগম্য হয় না।
এদিকে বর্তমান সময়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞও যানজটের একটা বড় কারণ। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও মেট্রোরেলের কাজ সড়কে যান চলাচলের জায়গা সরু করে ফেলেছে। একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণহীন যানচলাচলে যানজট হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ভুক্তভোগী অনেকে বলছেন, গণপরিবহন চালকদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। আবার বেশিরভাগ চালক সঠিকভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয়। তাছাড়াও রয়েছে বাসগুলোর মধ্যে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। এসব বিষয়ে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া মুক্তি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
ইইউডি/এনএইচটি/এএ