যেমন সিটিং সার্ভিসে কাউন্টার ব্যতিত না থামা বা সিটের অতিরিক্ত যাত্রী না উঠানো। অথচ পরে কিছুই মানা হয় না।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনে এক যাত্রী কন্ট্রাক্টরকে উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ওই ব্যাটা সিটিং কস, যাত্রী ঘাড়ে ক্যা। আমাদের ঘাড়ে যাত্রী না লইয়ে তোদের মাথায় নে। ১০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা ন্যাস আবার যাত্রী বাসে খাড়াইছে। ’
এসময় অনেক যাত্রীই তার সুরে সুর মিলিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাতিরঝিল থেকে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় বাকবিতাণ্ড। সিটিং সার্ভিসের বাসে লোকালের মতো যাত্রী দাঁড় করিয়ে নেওয়ায় শুরু হয় ঝগড়া।
‘সিটিং সার্ভিস’ প্রতারণায় বাসে ক্ষুব্ধ হওয়া যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার নাম রফিকুল আলম সরদার। বসবাস করেন কালাচাঁদপুরে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শান্তিনগর থেকে কাঁলাচাদপুরে লোকাল ভাড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা, রাখছে ৩০ টাকা। তারপরও ঘাড়ের উপরে যাত্রী দাঁড়াবে এটা হয় না। আমগোর দেখার কেউ নাইকা ভাই। ’
রাজধানীর সড়কে 'সিটিং সার্ভিসে'র নামে যাত্রী হয়রানি বন্ধে সিটি সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছিলো। পরে আবারও শুরু হয় সিটিং সার্ভিস। বর্তমানে নগরীতে যাত্রী হয়রানি আরও বেড়েছে।
যেমন ঢাকা শহরের লোকাল সার্ভিস বাস কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সুপ্রভাত পরিবহন। এ কোম্পানির বাসগুলো ৪/এ নম্বর রুটে সদরঘাট থেকে গাজীপুরের গাজীপুরা পর্যন্ত চলাচল করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে সুপ্রভাত পরিবহনের ছেড়ে যায়। এ কোম্পানির বাসগুলো লোকাল ভিত্তিতে চলাচল করলেও পুরাতন বডিতে একটু রংয়ের প্রলেপ দিয়ে বনে গেছে সিটিং সার্ভিস।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
এমআইএস/ওএইচ/