সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অঞ্জলি দেয়ার মধ্য দিয়ে পূজার কার্যক্রম শুরু হয়।
পূজা উপলক্ষে জগন্নাথ হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, কুয়েত মৈত্রী হল, শামসুন্নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
জগন্নাথ হলের মাঠে ঢাবির ৬৩টি বিভাগ পূজা মণ্ডপ তৈরি করে। চারুকলা অনুষদ জগন্নাথ হলের পুকুরে দৃষ্টিনন্দন দেবী সরস্বতীর মূর্তি তৈরি করে। পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন স্তরের মানুষরা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করছেন। পাশাপাশি প্রসাদ গ্রহণ করছেন পূণ্যার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাধব রায় বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারো পূজা উদযাপন চলছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার বিভাগের বাজেট বেশি হওয়ায় জাকজমক পূর্ণ হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে পূজা অর্চনার পাশাপাশি আনন্দে মেতে উঠেছেন দর্শনার্থীরা। শিশুদের খেলার জন্য ছিল নানা আয়োজন। বিভাগের মণ্ডপগুলোতে পুরোহিতরা বিভিন্ন ধরনের বাণী ভক্তদের নিয়ে একসঙ্গে পাঠ করছেন। বিভিন্ন বিভাগ ও হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে এতে। সব মিলিয়ে পূজাকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে।
পরিবার-পরিজন নিয়েও অনেকে এসেছেন পূজা দেখতে। রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে সন্তান, স্বামী নিয়ে পূজা দিতে এসেছেন লিলি দে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সরস্বতী বিদ্যার দেবী। পূজা দেয়ার মাধ্যমে ভালোভাবে বিদ্যা অর্জন, সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করেছি। প্রতিবছর আমরা এর অপেক্ষায় থাকি।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে আমাদের। সবাই উপভোগ করছে।
এদিকে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
এসকেবি/আরবি/