বকুল মিয়া কালামপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন এবং ওই এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন। তিনি নীলফামারী জেলার ডোমরা থানার গাঁওতারা হাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত গফুর উদ্দিনের ছেলে।
অপরদিকে কাওয়ালীপাড়া এলাকা থেকে সোহাগ হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার ভালুম গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী বাংলানিউজকে জানান, কালামপুর এলাকায় অটোরিকশা চালাতো বকুল মিয়া। ভোর রাতে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা তার অটোরিকশা ভাড়া করে। পরে তাকে কালামপুর ব্রিজের নিচে নিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখে ধামরাই থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত বকুলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান পুলিশ।
অপরদিকে, উপজেলার ধামরাই কাওয়ালীপাড়া এলাকা থেকে সোহাগ (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এছাড়াও তিনদিন আগে ধামরাইয়ের লাড়ুয়াকুণ্ড এলাকায় একই কায়দায় আরো এক অটোরিকশা চালককে গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা।
এ সব ঘটনার পর থেকে ধামরাই অটোরিকশা চালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, খুনিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি তাদের গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ