সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক এ রায় দেন।
একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং আরেকটি ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ মামলায় আরো ছয়জনকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুম উপজেলার বড়নগর এলাকায় আঙ্গুর খানের ছেলে।
অপর আসামিরা হলেন- আঙ্গুর খান (৫০) তার দুই ছেলে সুমন (২৫) ও রাজন (২০), একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মজিবুর রহমান ওরফে মজিব ওরফে মজিবুল হক (২৪), আকবর আলী খান (৫৪) ও তার ছেলে হৃদয় (২০)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বড়নগর এলাকার আব্দুল হামিদ ও আঙ্গুর খান ইজিবাইক চালাতেন। ২০১৫ সালের ৮ মার্চ সকালে কালীগঞ্জের চান্দাইয়া এলাকায় হামিদের ইজিবাইকে আঙ্গুর খান ধাক্কা দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য হামিদ এলাকার কয়েকজন মুরব্বিকে নিয়ে আঙ্গুর খানের বাড়ির পাশে আঙ্গুর খানের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় মুরব্বিদের কথায় হামিদ ক্ষমা চাইতে আঙ্গুরের পাশে গেলে তাকে গালা ধাক্কা দেয় আঙ্গুর খান। এক পর্যায়ে ওই আসামিরা হামিদকে মারধর করে এবং তার সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা হামিদকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ধানমন্ডি জেনারেল অ্যান্ড কিডনি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ মার্চ হামিদ মারা যান। পরের দিন ১২ মার্চ নিহতের স্ত্রী আউলিয়া বেগম বাদী হয়ে ৮ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ১১ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ এবং শুনানি শেষে সোমবার আদালত ওই দণ্ড দেন।
গাজীপুর আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবীর ও মো. কাউসার সিকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
আরএস/এএটি