সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বপনের বাবা ছুরত আলী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কাশিপুর গ্রামের যুবক আশিক আলী জানান, গ্রামের দু’টি পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যে পক্ষের লোক মারা গেছে তারা মামলা করায় প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। রোববার রাতে নিহত স্বপন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়। ঘটনার পর পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, কাশিপুর গ্রামে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে কোনো নিরীহ লোকজন যাতে হয়রানির শিকার না হয় এবং আসামিদের বাড়ি ঘরে কেউ হামলা বা লুটতরাজ করতে না পারে তার জন্য পুলিশ সতর্ক আছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের সালামত মিয়া ও সুলতান আহমেদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সুলতান পক্ষের সমর্থক স্বপন নিহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ