সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে প্রেমিক এ যুগলের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় হোটেল ব্যবস্থাপক আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে দায়ের করেন অপমৃত্যু মামলা।
নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন দাস বাংলানিউজকে বলেন, প্রেমের ঘটনা জানা-জানির পর দুই পরিবারই তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এরইমধ্যে অন্যত্র বিয়ের আলোচনা চললেও পরে সম্মত হন। কিন্তু অন্যত্র বিয়ে হওয়ার আশঙ্কা থেকে দু’জনে পালায়। পরে হোটেল কক্ষে প্রথমে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ছেলেটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকধারণা এ পুলিশ কর্মকর্তার।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মুসলিম স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন ওই প্রেমিক যুগল। হোটেলের বুকিং খাতায় লেখান রুমি বেগম ও মিন্টু মিয়া, ঠিকানা দেন জগন্নাথবাড়ি।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সিলেট নগরীর সুবহানীঘাট ‘হোটেল মেহেরপুর’ এর ২০৬ নং কক্ষে থেকে তরুণের ঝুলন্ত মরদেহ ও তরুণীর মরদেহ বিছানা উপর থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুমি পাল (২৫) সিলেটের জৈন্তাপুর নিজপাট গ্রামে বাসিন্দা ও মিন্টু দেব (২৬) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর জগন্নাথবাড়ি এলাকায় বাসিন্দা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
এনইউ/আরআইএস/