জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ প্রসঙ্গটি তুলে ধরে এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ এবং এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন।
এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উঠে দাঁড়িয়ে দেশের ছাত্রসমাজের আন্দোলন-সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে ছাত্রসমাজের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সকলকে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রসমাজ। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই স্বাধীন দেশে অধিভুক্তি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে একজন ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান তার দুটি চোখ হারিয়েছেন। চোখ হারানো এই ছাত্রের দায়িত্ব কে নেবে?
'ঢাকার ৭টি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করায় ছাত্রদের অসুবিধা হচ্ছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে টানাপোড়েনের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের রশি টানাটানির কারণে শিক্ষার্থীরা এখনও পরীক্ষার ফল পাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করায় দুর্ভোগে পড়ছে ঢাকাবাসী। কি প্রয়োজন ছিলো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করার! এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তো ভালোভাবেই চলছিলো! এই সমস্যার দ্রুত অবসান করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ৩০০বিধিতে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিতে হবে।
এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্র সমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভুমিকা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি শহীদ আসাদ ও মতিউরের স্মৃতিচারণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে কেঁদে ফেলেন।
তিনি বলেন, আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর বাজেটে কর ধার্য করেছিলাম। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কর প্রত্যাহার করা হয়।
‘দীর্ঘ দিন ডাকসু নির্বাচন হয় না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডাকসু ছিলো রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির কারখানা।
এ প্রসঙ্গে তিনি ছাত্রদের বিষয় সম্পর্কে সকলের যত্নবান হওয়ারও তাগিদ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
এসকে/জেএম