সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে পদ্মা সেতুর ৩৫নং পিলার এলাকায় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেনে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি আসে। দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হলে সেতুর ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হবে।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীরা বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ধূসর রঙের স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে যাওয়ার কথা থাকলেও ক্রেনের ত্রুটির কারণে যাওয়া স্থগিত করা হয়। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে স্প্যানটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওনা হয়। পদ্মা সেতুর পাইল ড্রাইভের কাজের জন্য নদীতে রাখা ভারি যন্ত্রাংশ ও ক্রেনের কারণে রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে নোঙর করে ১৩ ও ১৪ নং পিলার এলাকায় রাখা হয় স্প্যানটি।
প্রকৌশলীরা আরো বলেন, ৩৮ ও ৩৯নং পিলারের দূরত্ব অল্প হওয়ায় স্প্যান ৭বি ৩৫নং পিলারের কাছে রেখে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্প্যানটি ৩৮ ও ৩৯ নং পিলারে উপর বসানো হবে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং নির্দিষ্ট তারিখ দিয়েও পরিবর্তন করা হচ্ছে, কেননা এখানে অনেক বিষয় আছে যেসব বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে এগোনো সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বাধিক অগ্রগতি ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ ও মূল কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৬ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ পিলারের উপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো এবং সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।
**মাঝনদীতে নোঙরে পদ্মাসেতুর ২য় স্প্যান বহনকারী ক্রেন
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
এনটি