বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বেনাপোল বাজারের সোনালী ব্যাংকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সংবাদকর্মীরা হলেন- ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির যশোর জেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক ও ক্যামেরাম্যান শরীফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল বন্দরে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বাধীন দু’টি হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে। এর একটি ৯২৫ ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ করছেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা কমিশনার রাশেদা আলী। অপরটির ৮৯১ ইউনিয়নের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান ওহিদ।
বন্দরে প্রভাব বিস্তার নিয়ে এ দু’টি পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে উত্তজনা বিরাজ করছিলো। কিছু ঘটনাও ঘটে। এতে একে অপরকে দোষারোপ করে পাল্টা-পাল্টি মিছিল ও পথসভা করেছে।
বুধবার সকালে শ্রমিকদের একটি গ্রুপ হঠাৎ বন্দর থেকে মিছিল বের করে বেনাপোল বাজারে আসে। এ সময় তারা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দু’টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। মিছিল বের করে অপর গ্রুপের শ্রমিকরাও। এ সময় আতঙ্কে বাজারের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে এগিয়ে আসলে মিছিলে থাকা কেয়কজন শ্রমিক অতর্কিতভাবে তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় এবং ক্যামেরা ভাংচুর করে। এতে সাংবাদিক জিয়া ও শরীফ মারাত্বক জখম হয়।
পরে মিছিল চলে গেলে স্থানীয়রা ওই দুই সংবাদকর্মীকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ হাবিবুর রহমান হামলার ঘটনায় দুই সংবাদকর্মী আহতের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, তাদের উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় শান্তি রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এসআই শরীফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এজেডএইচ/জিপি