বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ভারতীয় জাল রুপি ও জাল টাকা তৈরি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর ডিবি (উত্তর) পুলিশ ও সিরিয়াস ক্রাইস ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।
গ্রেফতাররা হলেন- দরুদুজ্জামান বিশ্বাস ওরফে জামান, মো. তরিকুল ইসলাস, মজিবুর রহমান ও জয়নুল আবেদীন।
গ্রেফতারের সময় দরুদুজ্জামান ও তরিকুল ইসলামের কাছ থেকে ভারতীয় ১২ লাখ ২৮ হাজার জাল রুপি ও তৈরির সরঞ্জামাদি ল্যাপটপ, প্রিন্টার, লেমিনেট মেশিন, হ্যালোজেন লাইট, স্ক্যানিং, প্রিন্টার ফ্রেমসহ বিভিন্ন ধরণের কার্টিজ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
এদিকে, মজিবুর রহমান ও জয়নুল আবেদীনের কাছ থেকে ২০ লাখ জাল টাকা ও তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মলেন অমিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, দরুদুজ্জামান বিশ্বাস ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশি জাল টাকা ও ভারতীয় রুপি তৈরির কাজ করছিলো। তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত ছয়টি মামলা রয়েছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে আদাবর থানা পুলিশ জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত আট জনকে গ্রেফতার করে। ওই আট জনের মধ্যে দরুদুজ্জামান একজন ছিলো।
তিনি বলেন, গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে দরুদুজ্জানকে ২ লাখ জাল রুপিসহ আমরা গ্রেফতার করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর শাহ মখদুম এলাকায় অভিযান চালিয়ে দরুদুজ্জামানের সহযোগী তরিকুল ইসলামকে ১০ লাখ ২৮ হাজার জাল রুপিসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দরুদুজ্জামান এক লাখ জাল রুপির একটি বান্ডেল ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। গ্রেফতারের পর আসামিরা জাল টাকা ও জাল রুপি তৈরি ও সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।
ডিবি’র এই কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মগবাজারে অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্য মজিবুর রহমানকে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর থেকে জয়নুল আবেদীনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমরা তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। কিন্তু তারা জামিনে বের হয়ে কিছুদিন পর আবার একই কাজে লিপ্ত হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পুলিশের কাজ তাদের গ্রেফতার করা। তবে জামিন পাওয়া তাদের আইনি অধিকার। গ্রেফতারের পর মামলা দিয়ে এসব সদস্যদের আদালতে পাঠানো হলেও তারা কোনো না কোনোভাবে জামিনে বের হয়ে যায়।
এজন্য প্রযোজন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা। যদি এসব প্রচার করা হয়, তবে সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করে দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, অপরাধ দমনে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও যেকোনো তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। এতে আমরা আরও দ্রুত অপরাধ দমনে কাজ করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এসজেএ/জিপি