বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের যে শিডিউল সেটাও তারা দিবেন। সংবিধানে লেখা আছে অনুযায়ী ৯০ থেকে ৬০দিনের মাঝখানে যে ৩০ দিন আছে। এই ৩০দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেইক্ষেত্রে ২৩ ফেব্রুয়ারির আগেই এই নির্বাচন হতে হবে। আমার বিশ্বাস নির্বাচন কমিশন এ সমন্ধে ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তারা খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য দলীয় কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটাতো দলের নীতি নির্ধারক যারা তারা নিশ্চয় বসবেন এবং মনোনয়ন দেবেন। এটার ব্যাপারেও একটা পদ্ধতি আছে। সে পদ্ধতি অনুসরণ করেই কিন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী ঘোষণা করবেন।
আওয়ামী লীগ থেকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের একটা নমিনেশন বোর্ড আছে। একটা পদ্ধতি দিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। আমি সেই নমিনেশন বোর্ডের সদস্য না। প্রধানমন্ত্রী সেই বোর্ডের সভাপতি। ওনারা যখন প্রার্থী সিলেকশন করে ঘোষণা করবেন তখনই জানা যাবে কাকে নমিনেট করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আইন পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, এ আইন করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ পার্লামেন্ট সেশন শেষ হওয়ার পরে ছোট্ট একটা সেশন হবে। আইন পাসের সেশন। সেটার পরে বাজেট সেশনে হয়তো এ আইনটা পাস করাবো।
প্রধান বিচারপতির নিয়োগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সব নিয়োগই হবে। সব সময় বলে এসেছি, প্রধান বিচারপতির নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দেবেন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আরেক মেয়াদে থাকছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান অনুসারে একজন রাষ্ট্রপতি তার পদে দুই দুইবার থাকতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
ইএস/এসএইচ