বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে৩টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভিন এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মর্তুজ মিয়া, ফরিদ মিয়া, ফজলু মিয়া, ফয়ছাল চৌধুরী, মঈনুল মিয়া, শিফা বেগম ও সুন্দর মিয়া।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক বাংলানিউজকে জানান, আসামিদের মধ্যে সুন্দর মিয়া পলাতক। জামিনে মুক্ত অন্য আসামিরা এতোদিন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিলেও বুধবার সকালে আদালতে হাজির হন চারজন। কিন্তু রায়ের সময় তারাও আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২২ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাওরে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন নবীগঞ্জের দাউদপুর গ্রামের আবুল। পথে আবুল কালামের দোকানের সামনে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের মর্তুজ মিয়া দলবল নিয়ে আবুলকে পিঠিয়ে হত্যা করেন। ওই দিনই আবুলের ভাই সাদিক মিয়া বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। নবীগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ফরিদ তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এসআই