বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে আহত গৃহবধূকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আশংকাজনক অবস্থায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের বালাটারী গ্রামে নুর ইসলামের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই বালাটারী গ্রামের হাফেজ আলীর ছোট ছেলে বাদশা আলম প্রেম করে বিয়ে করেন একই উপজেলার রথেরপাড় গ্রামের জাফর উদ্দিনের মেয়ে জেসমিন আক্তারকে। বাবা হাফেজ আলী মেনে নিলেও বাদশা আলমের অপর দুই ভাই নুর ইসলাম ও নুর আলম এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় বাদশা ও জেসমিন আলাদা বাড়ি করেন। এরপরও জেসমিনকে বাড়ি ছাড়া করতে প্রায় মারপিট করত নুর আলম ও নুর ইসলাম। এ নিয়ে কয়েক দফায় স্থানী ভাবে শালিস বৈঠক হয়। মঙ্গলবার বিকেলে স্বামী বাদশা আলম বাজারে গেলে জেসমিন নুর আলমদের বাড়ির সামনে বেড়াতে যায়। এ সময় নুর ইসলাম জেসমিনকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও স্পর্ষকাতর স্থানসহ শরীর বিভিন্ন স্থানে কামড়ে রক্তাক্ত করে মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি ঢেলে ঘরে আটকে রাখে। এরপর নুর ইসলাম থানায় গিয়ে জেসমিনের বিরুদ্ধে উল্টো মারামারির অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, স্বামী বাদশা আলম ও তার মা রাশেদা বেগম জেসমিনকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের দেখা করতে দেয়নি। পরে পুলিশ রাতে জেসমিনকে ওই ঘর থেকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে আশংকাজনক অবস্থায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জেসমিনের স্বামী বাদশা আলম বাদি হয়ে আদিতমারী থানায় একটি লিখত অভিযোগ দায়ের করেন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে দুইটি মামলা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এনটি