বিদ্যুতের কোনো খুঁটি নেই অথচ আলোকিত দোকানপাট! এসব আলো সৌর বিদ্যুতের অবদান। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আলোকিত হয়ে উঠেছে সাগরঘেঁষা দ্বীপ মনপুরা।
বাজারের দোকানদার শরিফুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকায়ও লোডশেডিং আছে কিন্তু মনপুরায় কোনো লোডশেডিং নাই!
পুরো মনপুরা দ্বীপে একমাত্র আলোর উৎসব বলতে সৌর শক্তি। প্রতিটা দোকান ও বাসাবাড়ির ছাদেই রয়েছে সোলার প্যানেল। প্রতিটা ঘর ও দোকানে আলোর ছটা। সৌর বিদ্যুতের কল্যাণে শতভাগ ঘরে আলো পৌঁছে গেছে। মনপুরা দ্বীপের একেবারে উত্তরের বাজার তুলাতলী। এ বাজারেও অন্ধকার রাতে আলোর ছটা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী সোলার প্যানেল ব্যবহার করতে পারেন দ্বীপবাসী। এজন্য খরচেরও ভিন্নতা রয়েছে। পাঁচটা বাতি ও একটা ফ্যান চলতে পারে এমন সোলার প্যানেল সেট বসাতে খরচ হয় ২০ হাজার টাকা।
৭ বছরের ওয়ারেন্টিসহ একটা ব্যাটারি, ২০ বছরের ওয়ারেন্টিসহ পাঁচটা বাতি ও সোলার প্যানেল পাওয়া যায়। এককালীন টাকা দিয়ে পুরো সেট কিনে নিতে হবে। তবে প্রতি মাসে কোনো ধরনের সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। অন্যদিকে পাঁচটা বাতি, একটা টিভি ও ফ্রিজ চালানোর জন্য গুণতে হবে ৪৮ হাজার টাকা।
তুলাতলী বাজারের ইব্রাহিম শেখ বলেন, আমাদের কোনো লোডশেডিং নাই। যখন মন চায় তখনই ফ্যান-বাতি চালাই। মনপুরা দ্বীপে পরিবহন বলতে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরবাইক। অটোরিকশাও চলে সৌর বিদ্যুতে।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত একটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে। এখানকার মানুষ বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুতে ভরসা করেন না। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে নিজেদের সব ধরনের বৈদ্যুতিক চাহিদা পূরণ করে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২১০৮
এমআইএস/এমজেএফ